Tuesday, July 20, 2021
How to register on Surokkha for Corona/Covid-19 Vaccine in Bangladesh
Tuesday, June 23, 2020
হোমিওপ্যাথে আশার আলো করোনা চিকিৎসায়
Saturday, June 13, 2020
কোভিড-১৯ একটি ইসলামী ব্যবস্থাপত্র- প্রফেসর মো: রফিকুল ইসলাম
(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
ইতিহাসের ভয়াবহতম দুঃসময় অতিক্রম করছে বনি আদম। সারা বিশ্ব কার্যত অচল। জালিম-মাজলুম, পুণ্যাত্মা-পাপিষ্ঠ, ধার্মিক-অধার্মিক, আস্তিক-নাস্তিক সবাই প্রকৃতির জেলখানায় বন্দি। যারা প্রতিপক্ষকে অন্তরীণ করে নিজে স্বাধীনতার সুখ আস্বাদন করেছে- তারাও স্বেচ্ছা বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের লক্ষ-লক্ষ মানুষকে যারা ক্রীতদাসে পরিণত করেছে তাদের সকল প্রযুক্তি প্রহরণ-মারণাস্ত্র অকার্যকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অসহায়ত্ব এবং বিভীষিকার চূড়ান্ত রূপ যে কী এবং কেমন হতে পারে তা ঈড়ারফ-১৯ এর কল্যাণে বিশ্ববাসী কিঞ্চিৎ উপলব্ধি করতে পারছে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় কোনো রোগী পজিটিভ হলেই চিরচেনা পৃথিবীটা মুহূর্তেই হয়ে যাচ্ছে কাল-কালান্তরের অচেনা। আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-স্বজনসহ সকল আপনজন ক্ষণেক ব্যবধানেই আক্রান্তকে বৈরী ও অস্পৃশ্য জ্ঞান করে আত্মরক্ষায় ত্রস্তপদে করছে ত্রাহি-ত্রাহি। ধর্মবেত্তাগণ এ বিষাদময় দৃশ্যকে তাদের ধর্মালোচনার উপাদেয় এবং অনিবার্য অনুষঙ্গরূপে গ্রহণ করেছেন- প্রতিতুল্য করছেন ইয়াওমে মাহশার বা হাশর দিবসের সঙ্গে। বনি আদমের এ মহা বিপর্যয়কে গত ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে বিশ্বমহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি বাংলাদেশও এক ভয়ঙ্কর শঙ্কায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীর স্বর্গোপম দেশগুলো যেভাবে শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আমাদের তো সে তুলনায় ঢাল তলোয়ার কিছুই নেই, কী হবে আমাদের? ভীত-সন্ত্রস্ত চিত্তে মেকি সাহসে যদিও কেউ কেউ বলেছে- আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী; কিন্তু মানুষ হালে পানি পাচ্ছে না, বলছে “দাম্ভিক! আহাম্মক কোথাকার!!” হে পাক পরওয়ারদেগার আমরা এ আহাম্মক আর দাম্ভিকদের দলভুক্ত নই। আমাদেরকে তুমি ক্ষমা কর। রক্ষা কর। মানবজাতির এহেন ক্রান্তিকালে সকল দাম্ভিকতা ছাড়তে হবে। বস্তুজাত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ধৈর্য ও আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে বিশ্ব চরাচরের মহান প্রভুর শাশ্বত বিধানের প্রতি। তবেই এড়ানো যাবে কর্মদোষের অমোঘ ভবিতব্য। কিন্তু সেটি কিভাবে? সেটি কি ইসলামের নামে আবেগ ও কুসংস্কারের বেসাতি করে? নাকি কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামের সোনালি ঐতিহ্যিক উৎসোৎসারিত প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানঘনিষ্ঠ নীতিমালার স্বরূপ সাধন করে? আসুন দেখি এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবেলায় ইসলামের ব্যবস্থাপত্র ও প্রতিরক্ষা নীতি কী। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিষয়টির একটি সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের আজাব, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানবজাতির, বিশেষত মুসলমানদের কী করণীয়, সে বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোক-নির্দেশনা আছে কিনা, সেই অভিজ্ঞান লাভ করাই সময়ের দাবি।
এ দুর্দিন মোকাবেলা করার জন্য ইসলাম আমাদেরকে প্রথমত কয়েকটি অতিজাগতিক ও একান্ত মনস্তাত্তিক কার্যসূচি বাস্তবায়নের কথা বলে-