Tuesday, June 23, 2020

হোমিওপ্যাথে আশার আলো করোনা চিকিৎসায়

(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আশার আলো দেখছেন হোমিও চিকিৎসকরা। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তারা। তাদের দাবি, হোমিও ওষুধ সেবনের পর দ্রুততম সময়ে অর্ধশতাধিক করোনা রোগী সেরে উঠেছেন।
হোমিও চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি; কিন্তু প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে হোমিওপ্যাথি প্রয়োগ করে করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
তাদের মতে, করোনা রোগীদের যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার সব ক’টির সঙ্গেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মিল রয়েছে। তা ছাড়া কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমও বৃদ্ধি করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, হোমিওপ্যাথির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে চিকিৎসায় সুফল না এলেও ক্ষতির আশঙ্কা শূন্য। হোমিওপ্যাথি ওষুধের মূল্যও সাধারণের হাতের নাগালে।
একজন চিকিৎসক জানান, মার্চের শুরুতে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর ২১ জন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তাদের পরামর্শে দেশের ৬৪টি জেলায় হোমিও চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে হোমিও মেডিক্যাল কলেজগুলোর আউটডোরেও চিকিৎসা মিলছে।

Saturday, June 13, 2020

কোভিড-১৯ একটি ইসলামী ব্যবস্থাপত্র- প্রফেসর মো: রফিকুল ইসলাম

(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)

ইতিহাসের ভয়াবহতম দুঃসময় অতিক্রম করছে বনি আদম। সারা বিশ্ব কার্যত অচল। জালিম-মাজলুম, পুণ্যাত্মা-পাপিষ্ঠ, ধার্মিক-অধার্মিক, আস্তিক-নাস্তিক সবাই প্রকৃতির জেলখানায় বন্দি। যারা প্রতিপক্ষকে অন্তরীণ করে নিজে স্বাধীনতার সুখ আস্বাদন করেছে- তারাও স্বেচ্ছা বন্দিত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের লক্ষ-লক্ষ মানুষকে যারা ক্রীতদাসে পরিণত করেছে তাদের সকল প্রযুক্তি প্রহরণ-মারণাস্ত্র অকার্যকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অসহায়ত্ব এবং বিভীষিকার চূড়ান্ত রূপ যে কী এবং কেমন হতে পারে তা ঈড়ারফ-১৯ এর কল্যাণে বিশ্ববাসী কিঞ্চিৎ উপলব্ধি করতে পারছে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় কোনো রোগী পজিটিভ হলেই চিরচেনা পৃথিবীটা মুহূর্তেই হয়ে যাচ্ছে কাল-কালান্তরের অচেনা। আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-স্বজনসহ সকল আপনজন ক্ষণেক ব্যবধানেই আক্রান্তকে বৈরী ও অস্পৃশ্য জ্ঞান করে আত্মরক্ষায় ত্রস্তপদে করছে ত্রাহি-ত্রাহি। ধর্মবেত্তাগণ এ বিষাদময় দৃশ্যকে তাদের ধর্মালোচনার উপাদেয় এবং অনিবার্য অনুষঙ্গরূপে গ্রহণ করেছেন- প্রতিতুল্য করছেন ইয়াওমে মাহশার বা হাশর দিবসের সঙ্গে। বনি আদমের এ মহা বিপর্যয়কে গত ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে বিশ্বমহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি বাংলাদেশও এক ভয়ঙ্কর শঙ্কায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীর স্বর্গোপম দেশগুলো যেভাবে শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আমাদের তো সে তুলনায় ঢাল তলোয়ার কিছুই নেই, কী হবে আমাদের? ভীত-সন্ত্রস্ত চিত্তে মেকি সাহসে যদিও কেউ কেউ বলেছে- আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী; কিন্তু মানুষ হালে পানি পাচ্ছে না, বলছে “দাম্ভিক! আহাম্মক কোথাকার!!” হে পাক পরওয়ারদেগার আমরা এ আহাম্মক আর দাম্ভিকদের দলভুক্ত নই। আমাদেরকে তুমি ক্ষমা কর। রক্ষা কর। মানবজাতির এহেন ক্রান্তিকালে সকল দাম্ভিকতা ছাড়তে হবে। বস্তুজাত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ধৈর্য ও আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে বিশ্ব চরাচরের মহান প্রভুর শাশ্বত বিধানের প্রতি। তবেই এড়ানো যাবে কর্মদোষের অমোঘ ভবিতব্য। কিন্তু সেটি কিভাবে? সেটি কি ইসলামের নামে আবেগ ও কুসংস্কারের বেসাতি করে? নাকি কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামের সোনালি ঐতিহ্যিক উৎসোৎসারিত প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানঘনিষ্ঠ নীতিমালার স্বরূপ সাধন করে? আসুন দেখি এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবেলায় ইসলামের ব্যবস্থাপত্র ও প্রতিরক্ষা নীতি কী। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিষয়টির একটি সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের আজাব, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানবজাতির, বিশেষত মুসলমানদের কী করণীয়, সে বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোক-নির্দেশনা আছে কিনা, সেই অভিজ্ঞান লাভ করাই সময়ের দাবি।

এ দুর্দিন মোকাবেলা করার জন্য ইসলাম আমাদেরকে প্রথমত কয়েকটি অতিজাগতিক ও একান্ত মনস্তাত্তিক কার্যসূচি বাস্তবায়নের কথা বলে-

Thursday, June 11, 2020

ডা. তারেক আলমের ৩০ টাকার ওষুধে সারবে করোনা?

ত্রিশ টাকায় করোনা ভালো হবার ডা. তারেক আলমের ব্যবস্থাপনাপত্র কতখানি কার্যকর তা নিয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছে আইসিডিডিআরবি।


ঢাকার ৪টি করোনা হাসপাতালে এই গবেষণার অনুমতি চেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় গবেষণার ফল পেতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে না।
চারদিনে করোনা মুক্তি, আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন সমন্বয়ে ডা. তারেক আলমের ব্যবস্থাপনাপত্র সীমিত আকারে প্রয়োগে সুফল মিলেছে এমটাই দাবি করেন তিনি। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সহস্রাধিক রোগীর ওপর প্রয়োগে সুফল মেলার দাবি করা হয়েছে। এই ডোজ প্রয়োগ করছে আরো কিছু হাসপাতাল।
এবার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছে আইসিডিডিআরবি। যুক্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করা দেশি বিদেশি ১০ জন গবেষক। কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং ঢাকা ও মুগদা মেডিকেলকে গবেষণার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
ডিএমসি ডা. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, 'একটা গ্রুপকে আইভারমেকটিন দিব, আরেকটা গ্রুপকে আরেকটা দিব। এরপর তৃতীয় পক্ষ বৈজ্ঞানিকভাবে অ্যানালাটিক্স করে দেখবেন কোন গ্রুপের রোগীরা বেশি রেসপন্স করেছে।'
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ লুৎফুল মুবীন বলেন, 'আমাদের কাছে প্রচুর রোগী। খুব বেশি সময় লাগার কথা না। মাস খানেকের মধ্যে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।'
বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ(বিএমআরসি) বলছে, গবেষণার আবেদনে আইভারমেকটিনের পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা বাতিল হওয়া হাই্ড্রোক্সিক্লোরোকুইনের নাম থাকায় আবেদনটির রিভিউ কপি চেয়েছেন তারা।
বিএমআরসি পরিচালক মাহমুদ উজ জাহান বলেন, 'আমরা ওনাদের কাছে একটা আবেদন করেছি। তাদের আবেদনটির রিভিউ কপি চেয়েছি। কমিটি দেখে তারপর জানাবে।'
সেক্ষেত্রে বড় পরিসরে ব্যবহার কিংবা গাইড লাইনে অন্তর্ভুক্ত করার আগে গবেষণার বিকল্প নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই গবেষণার ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে করোনার চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিনের ভবিষ্যত। করা হবে একটি নীতিমালাও।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. তারেক আলম বলেন, 'এই প্রটোকলটি যদি আমরা ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাই, যদি এটি অনুমোদন পেয়ে যায়। তাহলে আইভারমেকটিনটি গাইডলাইনে নিয়ে আসতে পারবো।'
অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় প্রথম এই দুটি ওষুধের সংমিশ্রন করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে পারে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভারত, সাউথ আফ্রিকা ও তানজেনিয়াও ওষুধ দুটি নিয়ে গবেষণা অনুমতি দিয়েছে।

Thursday, June 4, 2020

করোনা চিকিৎসায় ১০০ টাকার বেশি খরচ নাই: ডা. জাফরুল্লাহ

(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি পড়ুন)
ডা. জাফরুল্লাহ কী ধরনের ওষুধ-ব্যবস্থা গ্রহণ করে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং করোনায় আক্রান্তরা কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন- এমন নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ।  শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন প্রদীপ দাস।

Tuesday, May 26, 2020

করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার উপায়


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন শীলের মতে সব থেকে ভালো হলো, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করা, কেউ যাতে করোনায় ভয়াবহভাবে আক্রান্ত না হন, সহজে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন,...

ড. বিজন শীল জানান, যেকোনও ধরনের গলা খুশ খুশ বা কাশি দেখা দিলেই আর অপেক্ষা করা উচিত হবে না। ওটা করোনা না করোনা নয়, এ নিয়ে চিন্তা করার কোনও দরকার নেই। বরং ওই মুহূর্ত থেকে যে কাজটি করতে হবে, তা হলো:-

আদা (জিঞ্জার) ও লবঙ্গ (ক্লোব)।  একসঙ্গে পিষে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে তার সঙ্গে কিছুটা চা দিয়ে ওটা এক কাপ মতো নিয়ে গারগল করে খেতে হবে। দিনে অন্তত তিন-চারবার এক কাপ করে এটা খেতে হবে। এর ফলে গলার ভেতরের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এতে কোষগুলো শক্তিশালী হবে। কোষগুলোর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষগুলো সমর্থ হবে কোভিড-১৯ ভাইরাস যদি আক্রমণ করে, তাকে প্রতিরোধ করতে।

যাদের গলা খুশ খুশ করে না বা কোনও কাশি দেখা দেয়নি, তারাও এটা নিয়মিত দিনে দুইবার অন্তত দু’কাপ খাবেন। তাতে তাদেরও ইমিউনিটি বাড়বে।

এর পাশাপাশি যাদের জোগাড় করা সম্ভব, বিশেষ করে যারা গ্রামে আছেন, তারা এখন নিমপাতা পাবেন। ওই নিমপাতা একটু পানি দিয়ে পিষতে হবে। পেষার ফলে যে সবুজ রঙের রসটি বের হবে সেটার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে তা গারগল করে খেতে হবে। এর ফলে গলার কোষগুলোয় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, ইমিউনিটি বাড়বে। যা অনেক বেশি সমর্থ হবে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসকে পরাজিত করতে।

করোনার যে তিনটি পর্যায় অর্থাৎ প্রথমে গলায় আক্রমণ করা। অর্থাৎ গলায় খুশ খুশ কাশি হবে। এর পরে এটা আমাদের ফুসফুসের ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে চলে যায়। ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে যাওয়া দ্বিতীয় স্টেজ। তৃতীয় বা শেষ স্টেজ হচ্ছে ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে পানি জমানো।

করোনাকে প্রথম স্টেজেই অর্থাৎ গলা খুশ খুশ অবস্থাতে দমন করতে হবে। আর সেজন্য আদা, লবঙ্গ এবং চা থেরাপি আর নিমপাতা থেরাপি অনেক কার্যকর হবে।

এর পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য তিনি প্রতিদিন একগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই ভিটামিন সি’র সঙ্গে অবশ্যই কিছুটা পরিমাণ জিঙ্ক থাকতে হবে।

.... ড. বিজন শীল বলছেন, এই ভিটামিন সি’র সঙ্গে জিঙ্ক থাকতে হবে। কারণ, ভাইরাসের ‘আর ডি ডি’কে ব্লক করে দিতে সমর্থ হয় জিঙ্ক। যার ফলে ওই ভাইরাস সহজে রোগীকে আক্রান্ত করতে পারে না।

যুদ্ধকালীন প্রয়োজনের মতো জরুরি ভিত্তিতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ভিটামিন সি প্রস্তুত করে বাজারে দেওয়া প্রয়োজন। আবার এই ভিটামিন সি দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে বিনামূল্যে বা কমমূল্যে পায়, তারও ব্যবস্থা নিতে হবে।

ড. বিজন শীল আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশের নাগরিকদের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্যে জিঙ্ক ইনজেকশন দিচ্ছে। তার মতে এই ইনজেকশন কার্যকর হবে।

এর পাশাপাশি ড. বিজন শীল মার্চ মাস থেকে একটি বিষয় সাবধান করে আসছেন, তা হলো টয়লেট পরিষ্কার রাখা। কারণ, কমোড, প্যান এবং বেসিন থেকে কফ, থুতু, প্রস্রাব ও পায়খানার মাধ্যমে করোনা বা কোভিড-১৯ ছড়ায় বেশি। রোগীর কফ ও থুতুর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।

এছাড়া এই ভাইরাস যেমন শরীরের অ্যালভিয়োলিতে চলে যায়, তেমনি অন্ত্রনালিতেও যায়। আর অন্ত্রনালিতে গেলে তখন রোগীর ডায়রিয়া হয়। তখন মলের সঙ্গে এ ভাইরাস যায়। এ কারণেই এগুলো পরিষ্কার রাখা জরুরি।
আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি অধিকাংশ অফিসে টয়লেট প্রয়োজনীয় পরিষ্কার করা হয় না। এগুলো এখন ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিষ্কারের ব্যবস্থা করানো দরকার।

সংগৃহীত।

Sunday, May 24, 2020

করোনার ভয়ে মসজিদে নামায বন্ধ করা কি ঠিক?

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Thursday, May 21, 2020

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস : হামদর্দ ইউনানী চিকিৎসা


কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ প্রাসঙ্গিক কিছু ভেষজ ওষুধ দিয়ে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় ট্রায়াল দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং সংক্রমণের উপসর্গ নিরাময়ে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদিত হামদর্দের তিনটি ইউনানী ওষুধের সফলতা পাওয়া গেছে। Kulyam গরম পানির বাষ্পের সঙ্গে ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে এবং আক্রান্তদের উপসর্গও দ্রুত নিরাময় হচ্ছে। Syp. Fevnil জ্বর নিবারক, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী। তার সঙ্গে Syp. Saduri কাশি নিরাময়, কফ নিঃসারক এবং ফুসফুসের শক্তিবর্ধক হিসেবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

সারা দেশে হামদর্দের ২৭০টি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে হামদর্দের চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ লক্ষণযুক্ত বা কোভিড পজিটিভ রোগীদের এই চিকিৎসা দিয়ে সফলতা পাচ্ছেন। দেশব্যাপী ৫০ জন করোনা পজিটিভ রোগী এ চিকিৎসা নিয়ে নেগেটিভ হয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭০০ জন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।

কিভাবে এই তিনটি ওষুধ কাজ করে তার ব্যাখ্যা দেখা যাক। কোভিড-১৯ মূলত আমাদের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। নাক এবং মুখ দিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে প্রথমে শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে অবস্থান করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে।

এমতাবস্থায় Kulyam সহকারে গরম পানির বাষ্প গ্রহণ করলে এতে থাকা শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান ক্যাম্ফোর, পাইন ওয়েল, ইউক্যালিপটাস ওয়েল এই ভাইরাসকে ধ্বংস করে। ফলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে Kulyam অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যে সব উপসর্গ দেখা দেয় যেমন- ফুসফুসের প্রদাহ, কাশি, ফুসফুসের আবদ্ধতা, যা কুলজমে বিদ্যমান উপাদানগুলো অত্যন্ত কার্যকরীভাবে তা নিরাময় করে।

Kulyam এর ব্যবহার বিধিঃ একটি পাত্রে গরম পানির সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা কুলজম মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস টেনে ভাঁপ নিন।

Syp. Fevnil জ্বর নিবারক, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক এবং প্রতিরোধক ক্ষমতাবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী। Fevnil প্রদাহ প্রশমন করে জ্বর নিবারণ করে। ভাইরাসবিরোধী হিসেবে Fevnil-এর ভূমিকা প্রমাণিত। একই সঙ্গে Fevnil রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দিচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায়ও Fevnil অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

Fevnil এর সেবনবিধি ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক : ৪ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার; অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ২ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার অথবা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শমতো সেব্য।

Syp. Saduri মূলত কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিরাময়ে ভূমিকা রাখছে। ফুসফুস সংক্রমিত হওয়ার কারণে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের কাশি, ফুসফুসের আবদ্ধতা এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। Saduri ব্রংকোডায়লেটর হিসেবে শ্বাসনালিকে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। এটি ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা নিঃসরণে সহায়তা করে ফুসফুসের আবদ্ধতা কমায়। একই সঙ্গে Saduri ফুসফুসের শক্তিবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী।

Saduri-এর সেবনবিধি ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক : ৪ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার; অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ২ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার অথবা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

See this link: #হামদর্দ_এর_ওষুধ_গ্রহণ_করুন কোভিড-১৯ কে জয় করুন

Source: www.jugantor.com

Tuesday, May 19, 2020

করোনায় জীবন বাঁচাতে পেশা পাল্টাচ্ছেন অনেকে | Corona Impact


লেবুতেই ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস জানালেন-চীনের বেইজিং মিলিটারি হাসপাতালের সিইও প্রফেসর চেন হরেন


শামীম চৌধুরী: বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরইমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। চীনের উহান থেকে সাপ ও বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়িয়েছে এ মহামারি রোগটি করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও এটি প্রতিরোধের উপায় জানিয়েছেন চীনের বেনজিং মিলিটারি হাসপাতালের সিইও প্রফেসর চেন হরেন। তার মতে, করোনা থেকে বাঁচাতে পারে এক টুকরা লেবু আর এক কাপ গরম পানি। এক্ষেত্রে একটি লেবু টুকরা করে কেটে য়ে এক কাপ গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এই লেবুর পানীয়তে থাকা প্রলিফেরাশন শরীরকে যে কোনো ধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এই পানীয় পান করার পরামর্শ দিয়েছেন এই গবেষক। তিনি জানান, লেবুর এই পানীয়টি করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করবে। এছাড়াও এটি শরীরের অন্যান্য ভাইরাস এবং ফ্লুর বিরুদ্ধেও লড়াই করতে সহায়তা করবে। লেবুর রসে রয়েছে কার্বলিক এসিড। যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে। সম্প্রতি চীনের জানজান ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সাইন্স বিভাগের গবেষক জিয়াও সেনমি মিনজি বলেছেন, করোনাভাইরাস বিশ্বের সব দেশেই ছড়িয়ে পরবে। সেটা আগে বা পরে। অনেক দেশেই এর কোনো পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই। করোনা প্রতিরোধে ভিটামিন সি বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মূলত সাধারণ একটি ভাইরাস। যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। দূর্ভাগ্যবশত এখনো করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। তবে করোনা সাধারণত অন্যান্য রোগে ভুগছেন এমন মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে বেশি। করোনাভাইরাস মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেই সংক্রমণ ঘটায়।

পালস অক্সিমিটার কি কিভাবে ব্যবহার করবেন। করোনায় অক্সিজেন কিভাবে চেক করে। Pulse Oximeter in Corona



Monday, May 18, 2020

জেনে নিন মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম


করোনাভাইরাসের সময়ে সবাইকে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তা মানছেন, আবার অনেকেই মানছেন না। আবার দেখা যায়, যারা মানছেন তাদের মধ্যে একাংশ আছেন যারা নিয়ম মেনে মাস্ক পরছেন না। বাকিরা কোনওরকম মাস্ক পরলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজন শেষে তা সঠিক নিয়মে খুলছেন না। 

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম কী-

১. মাস্ক পরা, খোলা বা ধরার আগে ও পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।

২. মাস্কের যে অংশ আমাদের মুখের সংস্পর্শে থাকে, সেখানে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  আর বাইরের অংশে কখনো হাত লাগলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. করোনাভাইরাস যেহেতু মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়, সেহেতু মাস্ক পরতে হলে অবশ্যই নাক ও মুখ ঢেকে পরতে হবে এবং একদমই তা নাক-মুখ থেকে নামানো যাবে না।

৪. দেখা যায়, মাস্ক পরে বাইরে বের হলেও অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় হরহামেশাই মাস্কটা খুলে ফেলা হয় বা নাক-মুখের নিচে নামিয়ে ফেলা হয়।  এটা আসলে বোকামি ছাড়া কিছু নয়।  একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, মাস্ক পরলে অকারণে তা খোলা যাবে না।  মানুষের সামনে একদমই না।

৫. বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক একবার পরলে সেটা বাসায় ফেরার আগে খোলা উচিত নয়।  এটি হয়তো মেনে চলা সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু বিষয়টি খুবই জরুরি।  একান্তই খুলতে হলে এমনভাবে খুলে ফেলুন যেন মাস্কের সামনে বা ভেতরে হাত না লাগে।  অর্থাৎ মাস্কের শুধু ফিতা ধরে খুলুন। লক্ষ্য করুন, মধ্যবর্তী সময়ে থুতনিতে রাখার জিনিস না এটি।  কারণ করোনা আক্রান্ত কারো থেকে জীবাণু আপনার থুতনিতে বা নাকে-মুখে এসে লাগবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।

৬. যে মাস্ক বারবার ব্যবহার করছেন, তা আলাদা করে রাখুন।  কাপড়ের মাস্ক হলে বাসায় ফিরে সাবধানে খুলে সাবান-পানিতে চুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। ডিস্পোজেবল মাস্ক হলে বাসায় এসেই আলাদা বিনে ফেলে দিন।  উন্নতমানের মাস্ক যা বারবার ধোয়া সম্ভব না। তা এমনভাবে (কাগজের প্যাকেট, বাক্স, আংটা) আলাদা করে রাখুন, যাতে কোনওকিছুর সংস্পর্শে না আসে। প্রতিটি মাস্ক অবশ্যই আলাদা রাখবেন।

৭. একেবারেই মাস্ক ব্যবহার না করা থেকে নাক ও মুখ ঢেকে রাখে এরকম যেকোনও রকমের মাস্ক অবশ্যই অধিক সুরক্ষা দেবে।  পাশাপাশি হাত ধোয়া, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা- এসব বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

Source: www.bd-pratidin.com

Thursday, May 14, 2020

Digital Hospital: “ডক্টর ভিডিও কল” সুবিধার মাধ্যমে করোনাসহ এবং করোনা ছাড়া যেকোনো স্বাস্থ্যসেবামূলক পরামর্শ

করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত ও প্রস্তুত রাখতে আতঙ্কিত না হয়ে বাড়াতে হবে সচেতনতা। শরীরে অস্বাভাবিক কোন উপসর্গ দেখা দিলে নিতে হবে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ। এখন ঘরে বসেই ডিজিটাল হসপিটাল-এর “ডক্টর ভিডিও কল”সুবিধার মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের জন্যই নয় বরং পরিবারের সবার জন্যই, করোনাসহ এবং করোনা ছাড়া যেকোনো স্বাস্থ্যসেবামূলক পরামর্শ নিতে পারবেন।

- প্রতি কল মাত্র ১০ টাকা।
- পাবেন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ
- পরিবারের সবার জন্য নির্ভরযোগ্য ডাক্তারি সেবা,সকাল ৮টা - রাত ১০টা পর্যন্ত।
- বুক করুন এখনইঃ https://care.dh.health/videocall

Wednesday, May 6, 2020

Corona - What is correct ? Yes and No

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

করোনা চিকিৎসায় বিনামূল্যে অক্সিজেন দিচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপ


করোনা চিকিৎসায় অতিজরুরি সংকট নিরসনে এগিয়ে এলো আবুল খায়ের গ্রুপ। বাংলাদেশের বাণিজ্যিকভাবে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রধান প্রতিষ্ঠানে ১২০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। সেখানে আবুল খায়ের গ্রুপের একেএস প্লান্টে রয়েছে ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা। যা বাংলাদেশের মধ্য সবচেয়ে বৃহত্তম।

এ অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় স্টিল উৎপাদনে, যা বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করা হয় না। দেশের এ সংকটকালে মানুষকে বাঁচানোটাই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ।

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অক্সিজেন সরবরাহ করছে আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে দু’শো সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে কোম্পানিকৃত সরবরাহ করা সিলিন্ডারের বাইরেও প্রাপ্ত অতিরিক্ত সিলিন্ডার ফিলিং করে, করোনা চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতাল গুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।

কোভিড-১৯ চিকিৎসার নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপের হেল্প লাইন নাম্বারে (০১৯৮৮৮০২১৬৬) যোগাযোগের জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

Source: www.bd-journal.com

Monday, May 4, 2020

ফেভিপিরাভির করোনায় কার্যকর ও বিষ্ময়কর ওষুধ


ফেভিপিরাভির করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় বিষ্ময়কর একটি ওষুধ। এটা জাপানের ফুজিফিল্ম গ্রুপের টোইয়াম কেমিকেলের এই ওষুধটি এভিগান হিসেবে সেখানে বিক্রি হয়। ওষুধটি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জাপান, চীন, ব্রিটেন ও আমেরিকার নামকরা মেডিক্যাল জার্নালে এ বিষয়ক গবেষণা প্রকশ পায়। ফেভিরিপাভির বা এভিগান প্রথম ২০১৪ সালে আবস্কিার করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ওষুধ হিসেবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত গাইডলাইনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মাঝারী ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ফেভিপিরাভিরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জাপান ছাড়াও বহি:বিশ্বে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফেভিপিরাভিরের কিছুটা মোডিফাই করে অনুমোদন করেছে।

সম্প্রতি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল এ ওষুধটি তৈরি করেছে ‘ফেভিট্যাব’ নামে। ২০০ এমজি’র ‘ফেভিট্যাব’ দেশের সর্বত্র কোভিড রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে বলে ইবনে সিনার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো: নুরুল্লাহ জানিয়েছেন।
মেডিক্যাল জার্নালগুলোতে বলা হয়েছে, ফেভিপিরাভির টাইপ ও সাবটাইপের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ট্রেইনের বিরুদ্ধেও কার্যকর। এছাড়া অন্যান্য আরএনএ ভাইরাস যেমন এ্যারেনাভাইরাস, বুনিয়াভাইরাস, ফিলোভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর। এই ভাইরাসগুলো হেমোরেজিক জ্বরের জন্য দায়ি। এটা সার্সকভ-২ বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর।

ব্রিটিশ সোসাইটির ‘জার্নাল ফর অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল কেমোথেরাপি’ বলেছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের জন্য ফেভিপিরাভির কার্যকর একটি ওষুধ। জার্নালটি গত ১৭ মে সংখ্যায় এ বিষয়টি নিয়ে নিবন্ধটি ছাপে। এ গবেষণাটি করা হয়েছে চীনে। তারা মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৭৫ বছর অথবা এর চেয়ে বেশি বয়সী ৮০ জন রোগীর উপর ওষুধটি পরীক্ষা করেন। গবেষকেরা ১৬০০ এমজি ফিভিপিরাভির প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিন থেকে ১৪ তম দিন পর্যন্ত ৬০০ এমজি ফেভিপিরাভির দিয়েছিলেন প্রতিটি করোনা আক্রান্ত রোগীকে। আবার লোপিনভির/রিটোনাভির দিয়েও তারা একই পরীক্ষা করেন। গবেষকেরা ৪০০ এমজি/১০০ এমজি লোপিনভির/রিটোনাভির ট্যাবলেট এক থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত দিনে দু’বার দিয়েও পরীক্ষা করেছেন। দেখা গেছে, ফেভিপিরাভির, লোপিনভির/রিটোনভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ। এই গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীকে ফেভিপিরাভির দিলে ৪ দিনে সুস্থ হতে শুরু করে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত। আবার লোপিনভির/রিটোনভির দিয়ে চিকিৎসা করালে ১১ দিনে সুস্থ হতে শুরু করে ৬২.২ শতাংশ পর্যন্ত।

গবেষণায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ফেভিপিরাভির (ফেভিট্যাব) একটি চমৎকার ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে আরো কিছু গবেষণায়। ‘জার্নাল অব অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবোলজিমে’ বলা হয়েছে, কোভিড-১৯’র ওষুধ হিসেবে ফেভিপিরাভির কার্যকর ওষুধ। ১২০ জন বয়স্ক মৃদু, মাঝারী ও কোভিডে মারাত্মক রোগীর ওপর এই গবেষণাটি করা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু, ৮৫ শতাংশ মাঝারী এবং ৬১ শতাংশ মারাত্মকভাবে কোভিড-১৯ আক্রান্তরা ১৪ দিনে সুস্থ হয়ে গেছেন। ওষুধটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিরাপদ ও সহনীয়।

এছাড়া ফেভিপিরাভির নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রোগ্রেসিভ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিস’ (আইজেপিএসএটি) দেখিয়েছে ফেভিপিরাভির মাঝারী ধরনের কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের জন্য একটি ‘উৎকৃষ্ট’ ওষুধ। এ গবেষণাটি কর হয়েছে চীনের উহানে, যেখানে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে ১৮ অথবা এর বেশি বয়সী ১১৬ জন অংশ নেয়। এদের সকলকে প্রথম দিন ১৬০০ এমজির ফেভিপিরাভির দুইবার (৮ ট্যাবলেট সকালে ও ৮টি রাতে) এবং এরপর ৭ দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ৬০০ এমজি দিনে দুইবার (৩ ট্যাবলেট দিনে ও ৩টি রাতে) প্রয়োগ করা হলে ৭১.৪ শতাংশ পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করে।

Friday, May 1, 2020

সাধ্যমত বাস্তব সকল ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সাথে মহামারী, বালা-মুসিবত ইত্যাদিতে করনীয় ইসলামী আমলসমূহ

সাধ্যমত বাস্তব সকল ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সাথে করোনা ভাইরাসসহ সকল দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য হাদীসে বর্ণিত এই ইমেজের দোয়াগুলো বেশী বেশী পড়ুন । সম্ভবমত সুরা বাকারার সর্বশেষের দোয়া, দোয়া ইউনুছ, আয়াতাল কুরছি, সুরা ফালাক, সুরা নাছ, সুরা এখলাছ, সুরা ফাতিহা, আয়াতে শেফা ইত্যাদি পড়ুন। তার সাথে সাথে প্রত্যেক নামাজের পর কাকুতি-মিনতিসহ দোয়া করুন। দোয়ার আগে ও পরে দরুদ শরীফ পড়ুন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমীন

টেলিমেডিসিন: মহামারির মধ্যে এক আশার আলো

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মাঝে বাড়ছে ভয়। সেই সাথে কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে গিয়ে সেবা নেয়া হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। মহামারির এমন পরিস্থিতিতে সমাধান হিসেবে দেখা দিয়েছে টেলিমেডিসিন সেবা। 

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবীরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আসায় করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশে টেলিমেডিসিন সেবার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বর্তমানে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও ওয়েবপেজ, অনলাইন অ্যাপস এবং স্কাইপের মতো বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি (স্বাচিপ) ডা. ইকবাল আর্সনাল বলেন, ‘দেশে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্যসেবার এক শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে যা কোভিড-১৯ এর পরেও ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

তিনি বলেন, স্বাচিপ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাথে মিলে ৫০০ ফোন নম্বরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেয়া শুরু করেছে।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেয়ার জন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজে নির্ধারিত হটলাইন নম্বর এবং সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে।

স্বাচিপ সভাপতি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য মানুষকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ডা. ইকবাল আর্সলান মানুষকে চিকিৎসক এবং হটলাইনগুলোতে অপ্রয়োজনীয় ফোন কল করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, তারা দেশের অধিকাংশ জেলা শাখায় অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ শুরু করেছেন। ‘অধিকাংশ জেলা শাখায় আমরা মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ওয়েবপেজ, অনলাইন অ্যাপস এবং স্কাইপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া শুরু করেছি।’

চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মোবাইল ফোনে সেবা দিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে রোগীদের অনলাইনে আসতে বলছেন বলে জানান তিনি।

ডা. এহতেশামুল হক বলেন, বিএমএ কোভিড-১৯ চিকিৎসকদের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবে। ইতোমধ্যে ৪০০ চিকিৎসক এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগদানের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

মুগদা মেডিকেল কলেজের ডা. আবু সাঈদ শিমুল জানান, তারা একদল চিকিৎসক নিয়ে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য অনলাইনে বাবা-মাকে সহায়তা করতে ‘চাইল্ড করোনার এওয়ারনেস-বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার সদস্য তাদের পেজে যোগদান করেছেন এবং তারা প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে পরিষেবা প্রদান করেন।

‘আমরা ১০৫ চিকিৎসক এ ফেসবুক পেজে প্রাথমিকভাবে লিখিত প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে পরামর্শপত্র সরবরাহ করি এবং প্রয়োজনে রোগীদের অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ভিডিও কলে যাই,’ তিনি যোগ করেন।

ডা. শিমুল বলেন, ২৪ মার্চ তারা একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ‘কোভিড টেস্ট ফর বিডি’ চালু করেছেন, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

কুমিল্লার সার্জন ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলার অনেক রোগী ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলায় বিএমপি’র ১০টি মোবাইল ফোন নম্বর, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের ১০টি মোবাইল নম্বর, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পাঁচটি নম্বর, সার্জন সোসাইটির কয়েকটি নম্বর এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালের একটি নম্বর পরিষেবা সরবরাহ করার জন্য রয়েছে।

তিনি জানান, সেবার জন্য তারা এ নম্বরগুলোতে কুমিল্লার বাইরে থেকেও ফোন কল পেয়ে থাকেন।

টেলিফোনের মাধ্যমে রোগীদের পরামর্শ দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল দেশে ‘কোভিড-১৯ সলিউশনস বাংলাদেশ’  নামে প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে। এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল্লাহ বলেন, প্ল্যাটফর্মের মূল কাজ হলো কোভিড বা নন-কোভিড রোগীদের প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দেয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও (বিএসএমএমইউ) সম্প্রতি হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করেছে।  হটলাইন নম্বর ০৯৬১১৬৭৭৭৭৭ এর মাধ্যমে লোকজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারবেন।

Source: https://dailysangram.com

Thursday, April 16, 2020

Education in corona time: classroom® - সহজে শেখার অ্যাপ

classroom® - সহজে শেখার অ্যাপ যেখানে আপনি শিখতে পারবেন সহজে, আনন্দের সাথে এবং যেখানে খুশি সেখানে


Monday, April 6, 2020

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ গোপন না রাখার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াসহ ৩১ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ ও এ সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ গোপন না রাখার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াসহ ৩১ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, 'দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এই ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।'

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো: 

১। করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

২। লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

৩। পিপিই সাধারণভাবে সকলের পরার দরকার নেই। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪। কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

৫। যারা হোম কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।

৬। নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

৭। নদীবেষ্টিত জেলাসমূহে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮। অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।

৯। পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

১০। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাগণ যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন- এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১১। ত্রাণ কাজে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

১২। দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।

১৩। সোশ্যাল সেফটি নেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৪। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।

১৫। খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না থাকে।

১৬। সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে, যাতে বাজার চালু থাকে। 

১৭। সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১৮। জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।

১৯। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের সকল স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সকলকে নিয়ে কাজ করবে।

২০। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

২১। জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।

২২। সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যেমন: কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্সা/ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

২৩। প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২৪। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সকল সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

২৫। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২৬। আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

২৭। কৃষকগণ নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

২৮। সকল শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখবেন। 

২৯। শিল্প মালিকগণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।

৩০। গণমাধ্যম কর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

৩১। গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে । ডিজিটাল প্লাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দিবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।