Wednesday, May 27, 2020
Tuesday, May 26, 2020
করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার উপায়
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন শীলের মতে সব থেকে ভালো হলো, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করা, কেউ যাতে করোনায় ভয়াবহভাবে আক্রান্ত না হন, সহজে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন,...
ড. বিজন শীল জানান, যেকোনও ধরনের গলা খুশ খুশ বা কাশি দেখা দিলেই আর অপেক্ষা করা উচিত হবে না। ওটা করোনা না করোনা নয়, এ নিয়ে চিন্তা করার কোনও দরকার নেই। বরং ওই মুহূর্ত থেকে যে কাজটি করতে হবে, তা হলো:-
আদা (জিঞ্জার) ও লবঙ্গ (ক্লোব)। একসঙ্গে পিষে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে তার সঙ্গে কিছুটা চা দিয়ে ওটা এক কাপ মতো নিয়ে গারগল করে খেতে হবে। দিনে অন্তত তিন-চারবার এক কাপ করে এটা খেতে হবে। এর ফলে গলার ভেতরের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এতে কোষগুলো শক্তিশালী হবে। কোষগুলোর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষগুলো সমর্থ হবে কোভিড-১৯ ভাইরাস যদি আক্রমণ করে, তাকে প্রতিরোধ করতে।
যাদের গলা খুশ খুশ করে না বা কোনও কাশি দেখা দেয়নি, তারাও এটা নিয়মিত দিনে দুইবার অন্তত দু’কাপ খাবেন। তাতে তাদেরও ইমিউনিটি বাড়বে।
এর পাশাপাশি যাদের জোগাড় করা সম্ভব, বিশেষ করে যারা গ্রামে আছেন, তারা এখন নিমপাতা পাবেন। ওই নিমপাতা একটু পানি দিয়ে পিষতে হবে। পেষার ফলে যে সবুজ রঙের রসটি বের হবে সেটার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে তা গারগল করে খেতে হবে। এর ফলে গলার কোষগুলোয় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, ইমিউনিটি বাড়বে। যা অনেক বেশি সমর্থ হবে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসকে পরাজিত করতে।
করোনার যে তিনটি পর্যায় অর্থাৎ প্রথমে গলায় আক্রমণ করা। অর্থাৎ গলায় খুশ খুশ কাশি হবে। এর পরে এটা আমাদের ফুসফুসের ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে চলে যায়। ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে যাওয়া দ্বিতীয় স্টেজ। তৃতীয় বা শেষ স্টেজ হচ্ছে ব্রঙ্ক অ্যালভিয়োলিতে পানি জমানো।
করোনাকে প্রথম স্টেজেই অর্থাৎ গলা খুশ খুশ অবস্থাতে দমন করতে হবে। আর সেজন্য আদা, লবঙ্গ এবং চা থেরাপি আর নিমপাতা থেরাপি অনেক কার্যকর হবে।
এর পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য তিনি প্রতিদিন একগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই ভিটামিন সি’র সঙ্গে অবশ্যই কিছুটা পরিমাণ জিঙ্ক থাকতে হবে।
.... ড. বিজন শীল বলছেন, এই ভিটামিন সি’র সঙ্গে জিঙ্ক থাকতে হবে। কারণ, ভাইরাসের ‘আর ডি ডি’কে ব্লক করে দিতে সমর্থ হয় জিঙ্ক। যার ফলে ওই ভাইরাস সহজে রোগীকে আক্রান্ত করতে পারে না।
যুদ্ধকালীন প্রয়োজনের মতো জরুরি ভিত্তিতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ভিটামিন সি প্রস্তুত করে বাজারে দেওয়া প্রয়োজন। আবার এই ভিটামিন সি দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে বিনামূল্যে বা কমমূল্যে পায়, তারও ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. বিজন শীল আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশের নাগরিকদের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্যে জিঙ্ক ইনজেকশন দিচ্ছে। তার মতে এই ইনজেকশন কার্যকর হবে।
এর পাশাপাশি ড. বিজন শীল মার্চ মাস থেকে একটি বিষয় সাবধান করে আসছেন, তা হলো টয়লেট পরিষ্কার রাখা। কারণ, কমোড, প্যান এবং বেসিন থেকে কফ, থুতু, প্রস্রাব ও পায়খানার মাধ্যমে করোনা বা কোভিড-১৯ ছড়ায় বেশি। রোগীর কফ ও থুতুর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।
সংগৃহীত।
Sunday, May 24, 2020
Thursday, May 21, 2020
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস : হামদর্দ ইউনানী চিকিৎসা
সারা দেশে হামদর্দের ২৭০টি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে হামদর্দের চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ লক্ষণযুক্ত বা কোভিড পজিটিভ রোগীদের এই চিকিৎসা দিয়ে সফলতা পাচ্ছেন। দেশব্যাপী ৫০ জন করোনা পজিটিভ রোগী এ চিকিৎসা নিয়ে নেগেটিভ হয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭০০ জন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
কিভাবে এই তিনটি ওষুধ কাজ করে তার ব্যাখ্যা দেখা যাক। কোভিড-১৯ মূলত আমাদের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। নাক এবং মুখ দিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে প্রথমে শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে অবস্থান করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে।
এমতাবস্থায় Kulyam সহকারে গরম পানির বাষ্প গ্রহণ করলে এতে থাকা শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান ক্যাম্ফোর, পাইন ওয়েল, ইউক্যালিপটাস ওয়েল এই ভাইরাসকে ধ্বংস করে। ফলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে Kulyam অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যে সব উপসর্গ দেখা দেয় যেমন- ফুসফুসের প্রদাহ, কাশি, ফুসফুসের আবদ্ধতা, যা কুলজমে বিদ্যমান উপাদানগুলো অত্যন্ত কার্যকরীভাবে তা নিরাময় করে।
Kulyam এর ব্যবহার বিধিঃ একটি পাত্রে গরম পানির সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা কুলজম মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস টেনে ভাঁপ নিন।
Syp. Fevnil জ্বর নিবারক, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক এবং প্রতিরোধক ক্ষমতাবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী। Fevnil প্রদাহ প্রশমন করে জ্বর নিবারণ করে। ভাইরাসবিরোধী হিসেবে Fevnil-এর ভূমিকা প্রমাণিত। একই সঙ্গে Fevnil রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দিচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায়ও Fevnil অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
Fevnil এর সেবনবিধি ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক : ৪ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার; অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ২ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার অথবা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শমতো সেব্য।
Syp. Saduri মূলত কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিরাময়ে ভূমিকা রাখছে। ফুসফুস সংক্রমিত হওয়ার কারণে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের কাশি, ফুসফুসের আবদ্ধতা এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। Saduri ব্রংকোডায়লেটর হিসেবে শ্বাসনালিকে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। এটি ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা নিঃসরণে সহায়তা করে ফুসফুসের আবদ্ধতা কমায়। একই সঙ্গে Saduri ফুসফুসের শক্তিবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী।
Saduri-এর সেবনবিধি ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক : ৪ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার; অপ্রাপ্ত বয়স্ক : ২ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার অথবা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
See this link: #হামদর্দ_এর_ওষুধ_গ্রহণ_করুন কোভিড-১৯ কে জয় করুন
Source: www.jugantor.com
Tuesday, May 19, 2020
লেবুতেই ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস জানালেন-চীনের বেইজিং মিলিটারি হাসপাতালের সিইও প্রফেসর চেন হরেন
Monday, May 18, 2020
জেনে নিন মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
করোনাভাইরাসের সময়ে সবাইকে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তা মানছেন, আবার অনেকেই মানছেন না। আবার দেখা যায়, যারা মানছেন তাদের মধ্যে একাংশ আছেন যারা নিয়ম মেনে মাস্ক পরছেন না। বাকিরা কোনওরকম মাস্ক পরলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজন শেষে তা সঠিক নিয়মে খুলছেন না।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম কী-
১. মাস্ক পরা, খোলা বা ধরার আগে ও পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।২. মাস্কের যে অংশ আমাদের মুখের সংস্পর্শে থাকে, সেখানে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বাইরের অংশে কখনো হাত লাগলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩. করোনাভাইরাস যেহেতু মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়, সেহেতু মাস্ক পরতে হলে অবশ্যই নাক ও মুখ ঢেকে পরতে হবে এবং একদমই তা নাক-মুখ থেকে নামানো যাবে না।
৪. দেখা যায়, মাস্ক পরে বাইরে বের হলেও অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় হরহামেশাই মাস্কটা খুলে ফেলা হয় বা নাক-মুখের নিচে নামিয়ে ফেলা হয়। এটা আসলে বোকামি ছাড়া কিছু নয়। একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, মাস্ক পরলে অকারণে তা খোলা যাবে না। মানুষের সামনে একদমই না।
৫. বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক একবার পরলে সেটা বাসায় ফেরার আগে খোলা উচিত নয়। এটি হয়তো মেনে চলা সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু বিষয়টি খুবই জরুরি। একান্তই খুলতে হলে এমনভাবে খুলে ফেলুন যেন মাস্কের সামনে বা ভেতরে হাত না লাগে। অর্থাৎ মাস্কের শুধু ফিতা ধরে খুলুন। লক্ষ্য করুন, মধ্যবর্তী সময়ে থুতনিতে রাখার জিনিস না এটি। কারণ করোনা আক্রান্ত কারো থেকে জীবাণু আপনার থুতনিতে বা নাকে-মুখে এসে লাগবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
৬. যে মাস্ক বারবার ব্যবহার করছেন, তা আলাদা করে রাখুন। কাপড়ের মাস্ক হলে বাসায় ফিরে সাবধানে খুলে সাবান-পানিতে চুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। ডিস্পোজেবল মাস্ক হলে বাসায় এসেই আলাদা বিনে ফেলে দিন। উন্নতমানের মাস্ক যা বারবার ধোয়া সম্ভব না। তা এমনভাবে (কাগজের প্যাকেট, বাক্স, আংটা) আলাদা করে রাখুন, যাতে কোনওকিছুর সংস্পর্শে না আসে। প্রতিটি মাস্ক অবশ্যই আলাদা রাখবেন।
৭. একেবারেই মাস্ক ব্যবহার না করা থেকে নাক ও মুখ ঢেকে রাখে এরকম যেকোনও রকমের মাস্ক অবশ্যই অধিক সুরক্ষা দেবে। পাশাপাশি হাত ধোয়া, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা- এসব বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
Source: www.bd-pratidin.com
Sunday, May 17, 2020
Thursday, May 14, 2020
Digital Hospital: “ডক্টর ভিডিও কল” সুবিধার মাধ্যমে করোনাসহ এবং করোনা ছাড়া যেকোনো স্বাস্থ্যসেবামূলক পরামর্শ
করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত ও প্রস্তুত রাখতে আতঙ্কিত না হয়ে বাড়াতে হবে সচেতনতা। শরীরে অস্বাভাবিক কোন উপসর্গ দেখা দিলে নিতে হবে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ। এখন ঘরে বসেই ডিজিটাল হসপিটাল-এর “ডক্টর ভিডিও কল”সুবিধার মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের জন্যই নয় বরং পরিবারের সবার জন্যই, করোনাসহ এবং করোনা ছাড়া যেকোনো স্বাস্থ্যসেবামূলক পরামর্শ নিতে পারবেন।
Monday, May 11, 2020
করোনা নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ওয়েব লিংক - শেয়ার করুন প্লীজ
Wednesday, May 6, 2020
করোনা চিকিৎসায় বিনামূল্যে অক্সিজেন দিচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপ
এ অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় স্টিল উৎপাদনে, যা বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করা হয় না। দেশের এ সংকটকালে মানুষকে বাঁচানোটাই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অক্সিজেন সরবরাহ করছে আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে দু’শো সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে কোম্পানিকৃত সরবরাহ করা সিলিন্ডারের বাইরেও প্রাপ্ত অতিরিক্ত সিলিন্ডার ফিলিং করে, করোনা চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতাল গুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।
কোভিড-১৯ চিকিৎসার নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপের হেল্প লাইন নাম্বারে (০১৯৮৮৮০২১৬৬) যোগাযোগের জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
Source: www.bd-journal.com
Tuesday, May 5, 2020
Monday, May 4, 2020
ফেভিপিরাভির করোনায় কার্যকর ও বিষ্ময়কর ওষুধ
ব্রিটিশ সোসাইটির ‘জার্নাল ফর অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল কেমোথেরাপি’ বলেছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের জন্য ফেভিপিরাভির কার্যকর একটি ওষুধ। জার্নালটি গত ১৭ মে সংখ্যায় এ বিষয়টি নিয়ে নিবন্ধটি ছাপে। এ গবেষণাটি করা হয়েছে চীনে। তারা মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৭৫ বছর অথবা এর চেয়ে বেশি বয়সী ৮০ জন রোগীর উপর ওষুধটি পরীক্ষা করেন। গবেষকেরা ১৬০০ এমজি ফিভিপিরাভির প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিন থেকে ১৪ তম দিন পর্যন্ত ৬০০ এমজি ফেভিপিরাভির দিয়েছিলেন প্রতিটি করোনা আক্রান্ত রোগীকে। আবার লোপিনভির/রিটোনাভির দিয়েও তারা একই পরীক্ষা করেন। গবেষকেরা ৪০০ এমজি/১০০ এমজি লোপিনভির/রিটোনাভির ট্যাবলেট এক থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত দিনে দু’বার দিয়েও পরীক্ষা করেছেন। দেখা গেছে, ফেভিপিরাভির, লোপিনভির/রিটোনভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ। এই গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীকে ফেভিপিরাভির দিলে ৪ দিনে সুস্থ হতে শুরু করে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত। আবার লোপিনভির/রিটোনভির দিয়ে চিকিৎসা করালে ১১ দিনে সুস্থ হতে শুরু করে ৬২.২ শতাংশ পর্যন্ত।
গবেষণায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ফেভিপিরাভির (ফেভিট্যাব) একটি চমৎকার ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে আরো কিছু গবেষণায়। ‘জার্নাল অব অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবোলজিমে’ বলা হয়েছে, কোভিড-১৯’র ওষুধ হিসেবে ফেভিপিরাভির কার্যকর ওষুধ। ১২০ জন বয়স্ক মৃদু, মাঝারী ও কোভিডে মারাত্মক রোগীর ওপর এই গবেষণাটি করা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু, ৮৫ শতাংশ মাঝারী এবং ৬১ শতাংশ মারাত্মকভাবে কোভিড-১৯ আক্রান্তরা ১৪ দিনে সুস্থ হয়ে গেছেন। ওষুধটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিরাপদ ও সহনীয়।
এছাড়া ফেভিপিরাভির নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রোগ্রেসিভ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিস’ (আইজেপিএসএটি) দেখিয়েছে ফেভিপিরাভির মাঝারী ধরনের কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের জন্য একটি ‘উৎকৃষ্ট’ ওষুধ। এ গবেষণাটি কর হয়েছে চীনের উহানে, যেখানে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে ১৮ অথবা এর বেশি বয়সী ১১৬ জন অংশ নেয়। এদের সকলকে প্রথম দিন ১৬০০ এমজির ফেভিপিরাভির দুইবার (৮ ট্যাবলেট সকালে ও ৮টি রাতে) এবং এরপর ৭ দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ৬০০ এমজি দিনে দুইবার (৩ ট্যাবলেট দিনে ও ৩টি রাতে) প্রয়োগ করা হলে ৭১.৪ শতাংশ পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করে।
Friday, May 1, 2020
সাধ্যমত বাস্তব সকল ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সাথে মহামারী, বালা-মুসিবত ইত্যাদিতে করনীয় ইসলামী আমলসমূহ
টেলিমেডিসিন: মহামারির মধ্যে এক আশার আলো
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মাঝে বাড়ছে ভয়। সেই সাথে কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে গিয়ে সেবা নেয়া হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। মহামারির এমন পরিস্থিতিতে সমাধান হিসেবে দেখা দিয়েছে টেলিমেডিসিন সেবা।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবীরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আসায় করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশে টেলিমেডিসিন সেবার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বর্তমানে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও ওয়েবপেজ, অনলাইন অ্যাপস এবং স্কাইপের মতো বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি (স্বাচিপ) ডা. ইকবাল আর্সনাল বলেন, ‘দেশে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্যসেবার এক শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে যা কোভিড-১৯ এর পরেও ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, স্বাচিপ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাথে মিলে ৫০০ ফোন নম্বরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেয়া শুরু করেছে।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেয়ার জন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজে নির্ধারিত হটলাইন নম্বর এবং সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে।
স্বাচিপ সভাপতি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য মানুষকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. ইকবাল আর্সলান মানুষকে চিকিৎসক এবং হটলাইনগুলোতে অপ্রয়োজনীয় ফোন কল করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, তারা দেশের অধিকাংশ জেলা শাখায় অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ শুরু করেছেন। ‘অধিকাংশ জেলা শাখায় আমরা মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ওয়েবপেজ, অনলাইন অ্যাপস এবং স্কাইপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া শুরু করেছি।’
চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মোবাইল ফোনে সেবা দিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে রোগীদের অনলাইনে আসতে বলছেন বলে জানান তিনি।
ডা. এহতেশামুল হক বলেন, বিএমএ কোভিড-১৯ চিকিৎসকদের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবে। ইতোমধ্যে ৪০০ চিকিৎসক এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগদানের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
মুগদা মেডিকেল কলেজের ডা. আবু সাঈদ শিমুল জানান, তারা একদল চিকিৎসক নিয়ে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য অনলাইনে বাবা-মাকে সহায়তা করতে ‘চাইল্ড করোনার এওয়ারনেস-বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার সদস্য তাদের পেজে যোগদান করেছেন এবং তারা প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে পরিষেবা প্রদান করেন।
‘আমরা ১০৫ চিকিৎসক এ ফেসবুক পেজে প্রাথমিকভাবে লিখিত প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে পরামর্শপত্র সরবরাহ করি এবং প্রয়োজনে রোগীদের অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ভিডিও কলে যাই,’ তিনি যোগ করেন।
ডা. শিমুল বলেন, ২৪ মার্চ তারা একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ‘কোভিড টেস্ট ফর বিডি’ চালু করেছেন, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।
কুমিল্লার সার্জন ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলার অনেক রোগী ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলায় বিএমপি’র ১০টি মোবাইল ফোন নম্বর, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের ১০টি মোবাইল নম্বর, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পাঁচটি নম্বর, সার্জন সোসাইটির কয়েকটি নম্বর এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালের একটি নম্বর পরিষেবা সরবরাহ করার জন্য রয়েছে।
তিনি জানান, সেবার জন্য তারা এ নম্বরগুলোতে কুমিল্লার বাইরে থেকেও ফোন কল পেয়ে থাকেন।
টেলিফোনের মাধ্যমে রোগীদের পরামর্শ দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল দেশে ‘কোভিড-১৯ সলিউশনস বাংলাদেশ’ নামে প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে। এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল্লাহ বলেন, প্ল্যাটফর্মের মূল কাজ হলো কোভিড বা নন-কোভিড রোগীদের প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দেয়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও (বিএসএমএমইউ) সম্প্রতি হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করেছে। হটলাইন নম্বর ০৯৬১১৬৭৭৭৭৭ এর মাধ্যমে লোকজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারবেন।
Source: https://dailysangram.com